বাংলাদেশে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই জানা যায়, ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে দেশের গণমাধ্যমেও। কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে তা জানা যায়নি।
মুক্ত মতপ্রকাশ করাই গণমাধ্যমের কাজ। এমন কাজে জড়িত প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় কি না, এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। কোন অভিযোগে কিংবা কোন মতপ্রকাশের কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে তা নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, গণমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা এর আগেও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ৩ দেশের গণমাধ্যমকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
গত বছর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ৬ কর্মকর্তা আর সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে হয়রানি এবং মৃত্যুর কারণ লুকানোর চেষ্টা করাই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এতে ওই ৬ কর্মকর্তার বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে সেই বছর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্স ও তাসনিম নিউজ এজেন্সিকেও।
এখানেই শেষ নয়। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরও মস্কোর শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন সরকার। যার মধ্যে ছিল ক্রেমলিনভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল ওয়ান, রাশিয়া ওয়ান ও এনটিভি। এসব চ্যানেলে প্রতিবছর প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন দিত যুক্তরাষ্ট্র। পরে যা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগে আরও বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।